Posts

Showing posts from September, 2021

বিদ্যাসাগরের শেষ জীবন

Image
১৮৭৫ সাল।  ৩১ শে মে । গভীর রাত .....  কলকাতার আর্মহার্স্ট স্ট্রীটের ৬৩ নম্বর বাড়ির দোতলায়  একটি ঘরে প্রবল অভিমানে ক্ষতবিক্ষত বিদ্যাসাগর  নিজের উইল তৈরি করছেন । সেই উইলের ২৪ নম্বর যে প্যারাগ্রাফটি ,  তা ছিল চমকে দেওয়ার মতো ।  সেখানে তিনি লিখেছিলেন : “ আমার পুত্র বলিয়া পরিচিত শ্রীযুক্ত নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়  যারপরনাই যথেচ্ছাচারী ও কুপথগামী এজন্য,  ও অন্য অন্য গুরুতর কারণবশতঃ আমি তাহার সংশ্রব ও সম্পর্ক  পরিত্যাগ করিয়াছি। এই হেতু বশত ...  তাঁহার নাম পরিত্যক্ত হইয়াছে  এবং এই হেতুবশতঃ তিনি... ঋণ পরিশোধকালে বিদ্যমান থাকিলেও  আমার উত্তরাধিকারী বলিয়া পরিগণিত অথবা... এই বিনিয়োগ পত্রের কার্যদর্শী  নিযুক্ত হইতে পারিবেন না।’’ অর্থাৎ বিদ্যাসাগর সজ্ঞানে নিজের ছেলে নারায়ন চন্দ্র বন্দোপাধ্যায়কে  তার সমস্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করলেন ।  এই উইল তৈরীর পর বিদ্যাসাগর কিন্তু ১৬ বছর বেঁচে ছিলেন ।  আর এই সময়সীমার মধ্যে তিনি একটি শব্দও পরিবর্তন করেননি ।  অথচ এই ছেলেই ছিল বিদ্যাসাগরের গর্ব । উইল তৈরি করার মাত্র ৫   ব...

কলকাতায় ভগৎ সিং এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু / Bhagat Singh and Netaji

Image
  ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ । বড়দিনের আগেই কলকাতা শহরে অত্যন্ত গোপনে, ছদ্মবেশে পা রাখলেন মহাবিপ্লবী ভগৎ সিং । ব্রিটিশ পুলিশ ঘুনাক্ষরেও টের পেল না, যাকে তারা হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছে, তিনি তখন সবার চোখের নজর এড়িয়ে লাহোর থেকে চলে এসেছেন কলকাতা শহরেই । ঘাঁটি গেড়েছেন মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী সাজুরামের বাড়িতে । সেসময় কলকাতায় সাজ সাজ রব । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা কলকাতায় ভিড় জমিয়েছেন । কেন? আসলে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছিল বর্ষিয়ান নেতা মতিলাল নেহেরুর সভাপতিত্বে কংগ্রেসের ৪৪তম বার্ষিক অধিবেশন ।   সে সময়ে অধিবেশনে সব সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলার ঘরের ছেলে, দামাল ছেলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু । খুব স্বাভাবিক ভাবেই একটা প্রশ্ন আমাদের কাছেও উঠে আসে যে, ভগৎ সিংয়ের সঙ্গে সে সময়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কি সাক্ষাৎকার ঘটেছিল ? হয়েছিল কি কোন গোপন আলোচনা সভা ? কেন এসব প্রশ্ন উঠে আসছে, তার কারণটা হলো এই যে, আপনারা জানেন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলন মূলত তিনটি ধারায় সংঘটিত হয়েছিল একটি ধারা হলো অহিংস আন্দোলন , অসহযোগ আন্দোলন যার রূপকার হলেন ম...