বিদ্যাসাগরের শেষ জীবন
১৮৭৫ সাল। ৩১ শে মে । গভীর রাত ..... কলকাতার আর্মহার্স্ট স্ট্রীটের ৬৩ নম্বর বাড়ির দোতলায় একটি ঘরে প্রবল অভিমানে ক্ষতবিক্ষত বিদ্যাসাগর নিজের উইল তৈরি করছেন । সেই উইলের ২৪ নম্বর যে প্যারাগ্রাফটি , তা ছিল চমকে দেওয়ার মতো । সেখানে তিনি লিখেছিলেন : “ আমার পুত্র বলিয়া পরিচিত শ্রীযুক্ত নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় যারপরনাই যথেচ্ছাচারী ও কুপথগামী এজন্য, ও অন্য অন্য গুরুতর কারণবশতঃ আমি তাহার সংশ্রব ও সম্পর্ক পরিত্যাগ করিয়াছি। এই হেতু বশত ... তাঁহার নাম পরিত্যক্ত হইয়াছে এবং এই হেতুবশতঃ তিনি... ঋণ পরিশোধকালে বিদ্যমান থাকিলেও আমার উত্তরাধিকারী বলিয়া পরিগণিত অথবা... এই বিনিয়োগ পত্রের কার্যদর্শী নিযুক্ত হইতে পারিবেন না।’’ অর্থাৎ বিদ্যাসাগর সজ্ঞানে নিজের ছেলে নারায়ন চন্দ্র বন্দোপাধ্যায়কে তার সমস্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করলেন । এই উইল তৈরীর পর বিদ্যাসাগর কিন্তু ১৬ বছর বেঁচে ছিলেন । আর এই সময়সীমার মধ্যে তিনি একটি শব্দও পরিবর্তন করেননি । অথচ এই ছেলেই ছিল বিদ্যাসাগরের গর্ব । উইল তৈরি করার মাত্র ৫ ব...