বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দেমাতরম : উত্থান-পতনের আশ্চর্য ইতিহাস / History : Vande Mataram by Bankim Chandra

১৯৪৮ সালের ২৫শে আগষ্ট। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত “বন্দেমাতরম” গানটি দেশের জাতীয় সংগীত হওয়ার ক্ষেত্রে সহস্র যোজন পিছিয়ে গেল। সে বছর ছিল বাস্তবিক অর্থেই “বন্দেমাতরম” গানটির ক্লাইম্যাক্স পিরিয়ড। অবশ্য সেই ক্লাইমেক্স পিরিওড শুরু হয়েছিল আট বছর আগে --- ১৯৩৭ সালে! কী ঘটেছিল সে বছরে?
আসব সেই আলোচনায়। তবে তার আগে, চলুন, আমরা জেনে নিই “বন্দেমাতরম” গানটির অবিশ্বাস্য সেই ইতিহাসের কথা।

১৮৭২ সালের এপ্রিল মাস। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর বিখ্যাত বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশ করলেন। এই বঙ্গদর্শন পত্রিকা সম্পাদনাকালেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচনা করলেন তাঁর বিখ্যাত “বন্দেমাতরম” গানটি। অপূর্ব সেই সাহিত্যকর্মটি নিয়ে তখন কিন্তু তেমন কোন হৈচৈ দেখা যায় নি। বেশ কয়েক বছর পর ১৮৮২ সালে, যখনই গানটিকে তিনি "আনন্দমঠ" উপন্যাসে অন্তর্ভুক্ত করলেন, গানটির ঐতিহাসিক পথচলা শুরু হল।

সত্যি কথা বলতে কি, “বন্দেমাতরম” গানটির অথবা “বন্দেমাতরম” ধ্বনিটির দীর্ঘ জীবন পথ আগাগোড়া বিভিন্ন অবিশ্বাস্য উত্থানপতন কিংবা গ্রহণ-বর্জনের দ্বারা আজও চিহ্নিত হয়ে আছে।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সমালোচকরা বলেন, এমনকি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর “জীবনস্মৃতি” বইতে উল্লেখ করেছেন যে, ১৮৮০ সাল থেকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের চিন্তাভাবনায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এই সময় থেকেই তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, ভারতবর্ষে পরাধীনতার শৃঙ্খল ব্রিটিশরা চাপায়নি, চাপিয়েছিল মুসলিম শাসকেরা। আর এই চিন্তা-ভাবনার কারণে তিনি সরাসরি হিন্দু জাতীয়তাবাদের সমর্থক হয়ে ওঠেন। বঙ্কিমচন্দ্রের সমালোচকদের মতে, মুসলমান বিদ্বেষের এই নয়া দর্শনের পটভূমিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় “আনন্দমঠ” উপন্যাস রচনা করেছিলেন এবং উপন্যাসটিতে “বন্দেমাতরম” গানটি যুক্ত করেছিলেন। বলাবাহুল্য, “আনন্দমঠ” উপন্যাসের দ্বিতীয় সংস্করণে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সেই মুসলিম শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন।

অন্যদিকে বহু গবেষকদের মতে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর সাহিত্যকর্মে অন্য কোন ধর্মকে নয়, হিন্দুধর্মকে তো নয়ই, শুধুমাত্র দেশপ্রেমকেই সর্বোচ্চ ধর্ম বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন, কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, ধর্ম ছাড়া অন্য কিছুই ভারতবাসীর হৃদয়কে আলোড়িত করতে পারে না। আর এই ধর্মই হলো স্বদেশপ্রেম, দেশপ্রেমই হল প্রত্যেক ভারতবাসী আসল ধর্ম। বলাবাহুল্য, “আনন্দমঠ” উপন্যাসের প্রথম সংস্করণে কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন।

একদিকে যেমন বিমানবিহারী মজুমদারের মত গবেষক “আনন্দমঠ” উপন্যাসটিকে ‘আধুনিক বাঙালির স্বদেশপ্রেমের বাইবেল’ বলে উল্লেখ করলেন, বহু গবেষক যেমন বললেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন “জাতীয়তাবাদের সর্বোচ্চ পুরোহিত”, তেমনি অন্যদিকে সমালোচকরা কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জাতীয়তাবাদের ধারণাটিকে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার দোষে দুষ্ট বলে উল্লেখ করলেন। কারণ তাদের মতে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন। সমালোচকরা আরও বললেন যে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় “আনন্দমঠ” উপন্যাস লিখে মুসলমান জাতির বিরুদ্ধে তাঁর স্বজাতিকে ক্ষিপ্ত করেছেন এবং “বন্দেমাতরম” সংগীতের মাধ্যমে হিন্দুজাতির মধ্যে একটা পুনর্জাগরণের উৎসাহ সৃষ্টি করেছেন।

একদিকে ব্রিটিশশক্তি বিরোধী ভারতীয় জাতীয়তাবাদ এবং অন্যদিকে মুসলিমশক্তি বিরোধী হিন্দু জাতীয়তাবাদ ----- এই দুই দ্বন্দ্বমূলক বৈশিষ্ট্য বুকে ধারণ করেই “বন্দেমাতরম” গানটির ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু। আর এই যাত্রাপথের বাঁকে বাঁকে ঘটল অবিশ্বাস্য ঘটনার ঘনঘটা।

আপনাদের আগেই বলেছি ১৮৮২ সালে “আনন্দমঠ” উপন্যাসে “বন্দেমাতরম” গানটি সংযুক্ত হয়।
১৮৮৫ সাল. : “বালক” পত্রিকায় গানটি আংশিকভাবে ছাপানো হয়।
১৮৮৬ সাল : কলকাতায় অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে “বন্দেমাতরম” গানটি পুরোটাই গাওয়া হয়েছিল। গবেষক পুলক চন্দের মতে তখন থেকেই “বন্দেমাতরম” গানটির হিন্দু জাতীয়তাবাদ থেকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদে উত্তরণ শুরু হয়েছিল।
১৮৯৫ সাল : এক ছাত্রসভায় সভাপতি হিসাবে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় “বন্দেমাতরম” ধ্বনি উচ্চারণ করেছিলেন, কিন্তু সেসময় তেমন কোনো সাড়া মেলেনি।
১৮৯৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম “বন্দেমাতরম” গানটি গাইলেন। কিন্তু সম্পূর্ণ গানটি নয়, প্রথম দুই স্তবক তিনি গিয়েছিলেন।

এখানে একটি তথ্য আপনাদের জানিয়ে রাখতে চাই, “আনন্দমঠ” উপন্যাসে “বন্দেমাতরম” গানটি যখন প্রথম সংযুক্ত হলো, সে সময় গানটিতে প্রথম সুরারোপ করেছিলেন লেখক যদুভট্ট। সুরটি ছিল মল্লার রাগে।
১৮৯৬ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন গানটি গাইলেন, গানটিতে তিনি নিজে নতুন সুর বসিয়েছিলেন।সেই সুরটি ছিল দেশ রাগের উপর।

আরও একটা বিষয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিন্তু গানটির প্রথম দুটি স্তবকের সুরারোপ করেছিলেন, এর কারণ কি ছিল? কারণ ছিল ওই দুই স্তবকের পরবর্তী স্তবকগুলির মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মন্দিরের কথা বলেছেন, দেবী দুর্গার কথা বলেছেন। গবেষকরা বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্ম ছিলেন বলে তিনি গানের পরবর্তী অংশ সেসময় বর্জন করেছিলেন।

১৯০২ সালে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে “বন্দেমাতরম” গানটি পরিবেশন করেছিলেন দক্ষিণাচরণ সেন।
এর পরেই আসলো ১৯০৫ সাল। “বন্দেমাতরম” গানটির যাত্রাপথের অন্যতম উল্লেখযোগ্য পর্যায়। সে বছর কংগ্রেসের বারানসী অধিবেশনে গানটি পরিবেশন করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগ্নি সরলা দেবী চৌধুরানী ।
আপনারা জানেন, সে বছরই শুরু হয়েছিল ঐতিহাসিক বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন। সেই আন্দোলনে “বন্দেমাতরম” গানটি হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাইকে একসূত্রে ঐক্যবদ্ধ করল।

Home confidential files -এর তথ্য অনুযায়ী বাখরগঞ্জের ছাত্ররাই প্রথম বন্দেমাতরম স্লোগানটিকে effectively একটি রণধ্বনি হিসাবে ব্যবহার করে।
সরলা দেবী কলকাতা থেকে ময়মনসিংহে পৌঁছালে সকলের অনুরোধে মঞ্চে বক্তৃতার সময় তিনি “বন্দেমাতরম” ধ্বনি দেন সাথে সাথে উপস্থিত জনসমুদ্রে “বন্দেমাতরম” বজ্রনির্ঘোষ প্রতিধ্বনিত হয় সেই প্রথম “বন্দেমাতরম” ধ্বনি ছাড়া ভারতবর্ষজুড়ে ভারতবাসীর সর্বজনীন রণধ্বনি তে পরিণত হল।

সরলা দেবী কলকাতা থেকে ময়মনসিংহে পৌঁছালে সকলের অনুরোধে মঞ্চে বক্তৃতার সময় তিনি “বন্দেমাতরম” ধ্বনি দেন। সাথে সাথে উপস্থিত জনসমুদ্রে “বন্দেমাতরম” ধ্বনি বজ্রনির্ঘোষে প্রতিধ্বনিত হয়।
সেই প্রথম “বন্দেমাতরম” ধ্বনি সারা ভারতবর্ষ জুড়ে সর্বজনীন এক স্লোগানে, এক রণধ্বনিতে পরিণত হল।

এরপরে থেকেই “বন্দেমাতরম” ধ্বনিটির অভাবনীয় উত্থান ঘটলো। ক্ষুদিরাম বসু, কানাইলাল দত্ত প্রমুখ বিপ্লবীরা “বন্দেমাতরম” ধ্বনির সাথেই ফাঁসির মঞ্চে আত্মবলিদান দিলেন। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল বিপ্লবীর কাছে “বন্দেমাতরম” হয়ে উঠল দেশপ্রেমের মন্ত্র --- ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক এক জাগরণের মন্ত্র। তখন বিপ্লবীদের কাছে “বন্দেমাতরম” ধ্বনিটি কোন সম্প্রদায়ের ধ্বনি ছিল না। “বন্দেমাতরম” ধ্বনি তাঁদের কাছে ছিল জাতীয়তাবোধের প্রতীক।

কিন্তু অল্প কিছুক্ষণ পরেই দুর্ভাগ্যক্রমে “বন্দেমাতরম” ধ্বনি সেই কৌলিন্য, সেই মর্যাদা হারালো। ১৯২০র দশক থেকে একদিকে “বন্দেমাতরম”, অন্যদিকে “আল্লা হু আকবর” স্লোগান দিয়ে একাধিক হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা হলো। হিন্দুশক্তির বিকাশের সেই দশক থেকে “বন্দেমাতরম” হয়ে উঠলো হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের স্লোগান। আর এই দুর্ভাগ্যজনক পরিবর্তনের ফলে “বন্দেমাতরম” গানটি হারিয়ে ফেলল সর্বজনগ্রাহ্যতা --- হারিয়ে ফেলল তার জাতীয়তাবাদী তাৎপর্য।

১৯৩৭ সালে শুরু হল “বন্দেমাতরম” গানটির ক্লাইমেক্স পিরিয়ড। কংগ্রেসের সভায় “বন্দেমাতরম” গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক চরম আকার ধারণ করল। সে বছর সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সভায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রস্তাব দিলেন সমস্যার সমাধানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপদেশ গ্রহণ করা হোক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুভাষচন্দ্র বসুকে জানালেন, কংগ্রেস একটি সর্বভারতীয় সংগঠন, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত আছেন। সেখানে মা দুর্গার আরাধনা সম্বলিত “বন্দেমাতরম” গানটি গাওয়ার পক্ষে অনুপযুক্ত। তবে গানটির দুই স্তবকে ভক্তি আর যে মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে, ভারতমাতার সৌন্দর্যকে যেভাবে আবাহন করা হয়েছে, তা যেকোনো ভারতবাসীর মনকে স্পর্শ করবেই। সুতরাং যদি গাইতেই হয়, তাহলে সমগ্র গানটি থেকে প্রথম দুটি স্তবককে ছিন্ন করে তা সচ্ছন্দে গাওয়া যেতে পারে।

বলাবাহুল্য, কংগ্রেস নেতৃত্ব কবিগুরুর সেই উপদেশ মেনে নিল। তবে কট্টর হিন্দু এবং মুসলিমরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সমালোচনা করতে একটুও পিছপা হলো না।

এই ঘটনার সুদূরপ্রসারী ফল হিসাবে আমরা দেখতে পাই, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যখন আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করলেন, তিন কিন্তু ধর্মের ছোঁয়াচবর্জিত “জয়হিন্দ-কেই স্লোগান বা রণধ্বনি হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রবাসী ভারতীয় সরকার গড়ার সময় “বন্দেমাতরম”, “জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে” এবং “সারে জাহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা” --- এই তিনটি বিকল্পের মধ্যে তিনি “জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে” গানটিকেই জাতীয সংগীত হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।

তা, কবিগুরুর পরামর্শে কংগ্রেসের সভায় “বন্দেমাতরম” গানটির প্রথম দুই স্তবক জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া শুরু হলেও, স্বাধীন ভারতবর্ষে কিন্তু চিত্রটি সম্পূর্ণ পাল্টে গেল। ১৯৪৮ সালের ২৫শে আগস্ট তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পথ অনুসরণ করে, কনস্টিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি হলে সমস্ত ধর্মীয় ছোঁয়াচ থেকে মুক্ত থেকে দেশের জাতীয় সংগীত হিসাবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “জনগণমন অধিনায়ক জয় হে” গানটিকে গ্রহণ করলেন। আর সাথে সাথেই “বন্দেমাতরম” গানটির ক্লাইমেক্স পিরিয়ডের পতন ঘটল।

সবশেষে বলবো যে “বন্দেমাতরম” ধ্বনির সাথে বিপ্লবীরা দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। তাদের কাছে সেই “বন্দেমাতরম” ধ্বনি ছিল "a source of purest national spirit".

ইতিহাসের গর্ভে যতই ঘটনার উত্থান পতন থাকুক না কেন, “বন্দেমাতরম” ধ্বনিটি চিরকালের জন্য আমাদের কাছে হয়ে রইল "a symbol of Indian nationalism". হয়তো সেই কারণেই “বন্দেমাতরম” গানটি আজও কখনো লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে, কখনো বা এ আর রহমানের কন্ঠে নিজের জীবনীশক্তিকে বারবার পুনরাবিষ্কার করে যায়। গান্ধীজী বলেছিলেন, “লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে ওই গান খোদাই করা আছে। কোনদিন হারাবে না।“

বাস্তবিকই “বন্দেমাতরম” গান মানে উত্থান পতনের এক আশ্চর্য ইতিহাস। হয়তো ভবিষ্যতে “বন্দেমাতরম” গান নিয়ে আরও আশ্চর্য ইতিহাসের সম্মুখীন হব আমরা।
....................................................................................
(প্রতিবেদনটিকে ভিডিওতে দেখতে এই বাক্যের উপর ক্লিক করুন)
তথ্যসূত্র:-
১) বন্দেমাতরম : দ্বন্দ্বদীর্ণ এক রণধ্বনি by আশীষ লাহিড়ী।
২) বঙ্কিমচন্দ্র আনন্দমঠ ও বন্দেমাতরম by আনন্দ ভট্টাচার্য
৩) অখন্ড ভারতের হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা ট্রাজেডি by মনসুর আহমেদ
৪) একদিন দেশ মাতবে এই গানে by গৌতম চক্রবর্তী
৫) দেশ পত্রিকা (১৭ জুন, ২০১৯)
৬) আনন্দবাজার পত্রিকা
৭) দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা (৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫)
৮) উইকিপিডিয়া
৯) গুগল

Comments

Popular posts from this blog

জীবনানন্দ দাশ ও লাবণ্যদেবী : বিয়ের গল্প / Jibanananda Das and Labanya Debi : Marriage Story

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় : প্রথম চুম্বন, মদ্যপান আর প্রেমের গল্প / Sunil Gangopadhyay : Story of First Kiss, Wine and Love