সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন : রামপ্রসাদী শ্যামাসঙ্গীতের রূপকথা / Sadhak Ramprasad Sen Biography

সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন জীবনী  : রামপ্রসাদী শ্যামাসঙ্গীতের রূপকথা / Sadhak Ramprasad Sen Biography


  • অকম্মার ঢেকীর গল্প
  • রামপ্রসাদী শ্যামাসঙ্গীতের রূপকথা
  • ভক্তদ্বয় : মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং সিরাজউদ্দৌলা
  • দুই মৃত্যুর গভীর অভিঘাত
  • বুধো ডাকাতের নরবলি থেকে নিষ্কৃতি
  • শেষ যাত্রা : ১৭৮১ সাল
#
ছবিঃ ফেসবুক


ঘনঘন নালিশ যাচ্ছিল মনিবের কাছে মনিব হলেন উত্তর কলকাতার গরানহাটার জমিদার দুর্গাচরন মিত্র প্রথম প্রথম জমিদারমশাই তেমন  কিচ্ছু বলেননি শেষমেষ একদিন বিরক্ত হয়ে হিসেবের খাতাসমেত তলব করলেন অকম্মার ঢেকী সেই মুহুরীটিকে মুহুরীর কাছ থেকে হিসেবের খাতা নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখতে লাগলেন জমিদারবাবু আশ্চর্য খাতার কোন কোন পাতায় লেখা রয়েছে গান হিসেবের খাতায় গান এ তো মহা অপরাধ।  হঠাৎ জমিদারের চোখ আটকে গেল একটি গানে লেখা রয়েছে:

আমায় দাও মা তবিলদারি

আমি নিমকহারাম নই, শংকরী

গানটি পড়তে পড়তে জমিদারের বুকের ভেতর যেন মোচড় দিয়ে উঠল ছি ছি , এ তিনি কি করেছেন! কাকে তিনি সামান্য হিসেব লেখার কাজে লাগিয়েছেন! লজ্জায় তার মাথা হেঁট হয়ে গেল! সামনে অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে আছেন সেই মুহুরী

জমিদার তাকে বললেন, তুমি বাড়ি ফিরে যাও বাবা অনেক বড় কাজের জন্য তোমার জন্ম  সংসার চালানোর কথা তোমায় ভাবতে হবে না মাসে মাসে তিরিশ টাকা তোমার বাড়িতে আমি পাঠিয়ে দেবো 

মুহুরীর তখন আনন্দে আর  ধরে না  তিনি ফিরে এলেন হালিশহরে  আর চিন্তা নেই সংসারের খরচ নিয়ে তাঁর আর মাথাব্যাথা রইল না। তিনি মনপ্রাণ ঢেলে দিলেন তাঁর  সাধনায়

অচিরেই বাংলার বুকে উদ্ভাসিত হলো অসাধারণ কালজয়ী সব শ্যামাসংগীত, যে সংগীতের গুণেই শ্মশানবাসিনী মাকালী হয়ে উঠলেন বাঙালির ঘরের মেয়ে, বাঙ্গালির স্নেহময়ী মাতৃস্বরূপা সেই সময়ে তান্ত্রিক-কাপালিকদের তন্ত্রসাধনার মা কালী সাধারণ বঙ্গীয় সমাজের অঙ্গ ছিল না। আর সেই বেড়াটাই ভেঙে গেল অপূর্ব সব শ্যামাসংগীতের গুনে  সৌজন্যে হালিশহরের সেই মুহুরী , যিনি আর কেউ নন, আমাদের সকলের সুপরিচিত সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন

এই রচনাটি ভিডিওতে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

সাধক কবি রামপ্রসাদ সেনের জীবনের বহু অলৌকিক ঘটনার কথা লোকমুখে আজও বহুল প্রচলিত। যেমন ধরুন, স্বয়ং মা কালী রামপ্রসাদের কন্যা জগদীশ্বরীর রূপে এসে কবিকে, ঘরের ভাঙা বেড়া বাঁধতে সাহায্য করেছিলেন। আবার ধরুন,  বারাণসী  থেকে স্বয়ং দেবী অন্নপূর্ণা হালিশহরে রামপ্রসাদের গান শুনতে এসেছিলেন -- ইত্যাদি ইত্যাদি বহু  অলৌকিক ঘটনার ঘনঘটা সাধক  কবি রামপ্রসাদ সেনের গোটা জীবন ঘিরে। বহু মানুষ আছেন, যারা এসব বিশ্বাস করেন না, তেমনি বহু মানুষ পরম ভক্তি ভরে আজও এই সকল ঘটনা কায়মনোবাক্যে  বিশ্বাস করেন।

এই প্রসঙ্গে আমি আপনাদের বলতে পারি যে, সাধক কবি রামপ্রসাদ সেনের জীবনের যে সব ইতিহাস আশ্রিত ঘটনাবলী লক্ষ্য করা যায়, তা কিন্তু  অলৌকিক ঘটনাগুলির চাইতে কোন অংশে কম আশ্চর্যের ঘটনা কখনই ছিল না  ইতিহাস আশ্রিত সেই সব ঘটনাবলী আপনি যদি বিশ্লেষণ করেন, আপনি দেখতে পাবেন, রামপ্রসাদ সেনের অন্যতম সেরা দুটি পরিচয় ---- একাধারে তিনি ভক্তিরসের অনন্যসাধারণ গায়ক , অন্যদিকে তিনি আদ্যান্ত এক অসাধারন কবি, যার কাব্যপ্রতিভার বিচ্ছুরন এককথায় কালজয়ী।

কলকাতার গরানহাটার সেই জমিদার দুর্গাচরন মিত্র রামপ্রসাদ সেনের সংসারের দায়িত্ব নেওয়ার পর কবি হালিশহরের পৈতৃক বাড়িতে ফিরে এসে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন দুই সাধনায়----- একদিকে ছিল মাতৃসাধনা , অন্যদিকে ছিল মাতৃসাধনায় একের পর এক শ্যামাসংগীতের ভাবের সাগরে ডুব দেওয়া।   

প্রতিদিন ভোরে উঠে শুরু করতেন মায়ের নাম গান একটু বেলা হলে হালিশহরে গঙ্গার ঘাটে চলে যেতেন।  জলে দাঁড়িয়ে গাইতে থাকেন একের পর এক গান সে গান শোনার জন্য গঙ্গার ধারে ভিড় জমে যেত নদীর বুকেও থেমে যেত সারি সারি নৌকা  

 রামপ্রসাদ সেন যখন গান ধরেন:  

 আমার এমন দিন কি হবে তারা,

 যবে তারা তারা তারা' বলে তারা বেয়ে পড়বে ধারা!”

মানুষজন তখন তার নামে ধন্য ধন্য করে ওঠে

মাঠে চাষবাসের কাজ করতে গিয়ে যখন তিনি গেয়ে ওঠেন:

মন রে, কৃষিকাজ জানো না এমন মানব জমিন রইল পতিত,

 আবাদ করলে ফলতো সোনা

চারিদিকের মানুষ অবাক হয়ে তার গান শোনে

হালিশহরের নামজাদা পন্ডিত বলরাম তর্কভূষণ একদিন রামপ্রসাদ সেনকে দেখলেন টলমল পায়ে গঙ্গাস্নানে চলেছেন। তাই দেখে বলরাম পন্ডিত চেঁচিয়ে বলে উঠলেন, “ দ্যাখ, দ্যাখ, মাতাল ব্যাটা যাচ্ছে।“

সে কথা শুনে রামপ্রসাদ  হেসে হেসে গাইলেন তার বিখ্যাত গান :

“সুরা পান করি না আমি,  সুধা খাই জয় কালী বলে।

 আমার মনমাতালে মাতাল করে,

 মদমাতালে মাতাল বলে।“


আবার তিনি যখন গান ধরেন,

‘ডুব দে রে মন কালী বলে

হৃদি-রত্নাকরের অগাধ জলে।‘

তখন সকলে স্থির হয়ে তার গান শোনে। কারো কিছু বলার যেন কোন শক্তি থাকে না। সবাই যেন একদম মন্ত্রমুগ্ধ।

রামপ্রসাদের গান , যাকে বলা হয় রামপ্রসাদী, তা ছিল সার্বিক অর্থে এক নতুন ধারার গান। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের যে মৃদু রাগ --- সেই মৃদু রাগের সাথে ভক্তিরসের   সংমিশ্রণে ঘটিয়ে  রামপ্রসাদ সেন বাংলা সংগীতে যে  "মধুর, আটপৌরে ও অসংস্কৃত’ নতুন সুর সৃষ্টি করেছিলেন, পরবর্তী দেড়শো বছর ধরে  শতাধিক কবি ও সংগীতকার সেই সুরেই  গান রচনা করে গিয়েছিলেন, বলা বাহুল্য,  আজও শ্যামাসংগীত রচনা ও পরিবেশনার ক্ষেত্রে তাকেই বহুলাংশে অনুসরণ করা হয়। ।

সত্যি, কি আশ্চর্য সব গান লিখে গেছেন তিনি।  তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়ে এক স্থানীয় জমিদার তাকে দিয়েছিলেন কবিরঞ্জন উপাধি সে সময়েই রাজকিশোর মুখোপাধ্যায় নামে এক ধনী কালীভক্তের বিশেষ অনুরোধে রামপ্রসাদ সেন লিখলেন তার প্রথম পুঁথি -- “কালীকীর্তন”! কালী কীর্তন শেষ করে তিনি এরপর লিখলেন আরো দুটো ছোট ছোট পুঁথি  কৃষ্ণকীর্তন এবং সীতার বিলাপ”!  

সাধক কবি কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ সেনের  খ্যাতি তখন দুরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছে।

 #

ছবিঃ ইন্টারনেট

একদিন গঙ্গার বুকে তিনি গান ধরেছেন, আর সে সময় গঙ্গায় নৌকাযোগে যাচ্ছিলেন নবদ্বীপের অধিপতি মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রামপ্রসাদের সুললিত কন্ঠের গান শুনতে পেলেন তিনি যতক্ষণ রামপ্রসাদের গান চলল,  ততক্ষণ তিনি গঙ্গার বুকে নৌকা দাঁড় করিয়ে একান্তমনে সে গান শুনলেন গান শুনে মুগ্ধ হয়ে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রামপ্রসাদ সেনের সাথে আলাপ করলেন

পরবর্তী সময়ে নবদ্বীপে ফিরেই মহারাজ খবর পাঠালেন যে তিনি রামপ্রসাদ সেনকে তার নিজের সভাকবি করতে চান কিন্তু মায়ের সাধনায় নিমগ্ন রামপ্রসাদ সেন বিনীতভাবে সে চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র বুঝলেন, রামপ্রসাদ সেন  নির্লোভ এক সাধক চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানে মহারাজ ক্রোধান্বিত হলেন না, বরং তার শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেল তবে তিনি তার  সভাকবি ভারতচন্দ্রের মত রামপ্রসাদ সেনকে বিদ্যাসুন্দর কাব্য লিখতে অনুরোধ করলেন মহারাজের সেই অনুরোধ রামপ্রসাদ সেন অবশ্য  উপেক্ষা করতে পারেন নি তিনি লিখেছিলেন তাঁর অসাধারণ  কাব্য -- বিদ্যাসুন্দর, যা ছিল তাঁর কাব্যপ্রতিভার অনন্য এক উজ্জ্বল নজির।  

কিংবদন্তি আছে যে, বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা রামপ্রসাদ সেনের গান শুনে ছিলেন  হালিশহর গঙ্গার বুকে নিজের বজরায় বসে রামপ্রসাদ সেনের

গান শুনে মুগ্ধ,  অভিভূত নবাব বিদায় নেওয়ার আগে নাকি রামপ্রসাদ সেনকে মুর্শিদাবাদে আসার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।  

যদিও  সেই অনুরোধ পরবর্তী সময়ে রাখতে পারেন নি  সাধক কবি রামপ্রসাদ , কেননা তার কিছুদিন বাদেই হয়েছিল ঐতিহাসিক পলাশির যুদ্ধ, যে যুদ্ধে ঘাতকদের হাতে প্রাণ দিয়েছিলেন পরাজিত নবাব সিরাজউদ্দৌলা রামপ্রসাদ সেনের বয়স তখন 37 বছর 

 #

রামপ্রসাদ সেনের জীবনে দুজন মানুষের মৃত্যু গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছিল  মা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর মৃত্যু এবং মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের মৃত্যু

রামপ্রসাদ সেন বরাবরই ছিলেন মা অন্ত-প্রাণ তার কাছে গর্ভধারিনী মা আর আরাধ্য দেবী মা কালীর মধ্যে যেন কোন পার্থক্য ছিল না  মায়ের মৃত্যুতে তিনি যেমন গভীর আঘাত পেয়েছিলেন, তেমনি অন্যদিকে মা কালীর সাধনায় তিনি আরো বেশি করে ঐকান্তিকভাবে নিজেকে নিবেদন করতে পেরেছিলেন মায়ের মৃত্যুর আঘাতে সংসারের সব বাঁধন যেন ছিঁড়ে গিয়েছিল কারণ এরপরেই তিনি মেতে উঠেছিলেন মা কালীর কঠোর সাধনায়  

নিজের বাড়ির বাগানের একটি কোণে রামপ্রসাদ সেন আগেই তৈরি করেছিলেন পঞ্চবটী বন সেখানেই পঞ্চমুণ্ডাসন প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি। বাড়ির কাছেই সাধনামন্ডপ তৈরী ছিল অনেক আগেই। কিংবদন্তি অনুসারে এই পঞ্চবটী বনেই মাতৃসাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন তিনি

অন্যদিকে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন তার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ প্রিয় বন্ধু তাঁর বিয়োগব্যাথায় তিনি এতটাই কষ্ট পেয়েছিলেন যে নবদ্বীপ যাত্রায় তিনি আর কখনও সামিল হননি। একসময়  মহারাজার অনুরোধে প্রায়ই তিনি নবদ্দীপ যেতেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে গান শোনাবার জন্য

এখানে একটি ভয়ঙ্কর সুন্দর গল্প আছে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জীবনের শেষ পর্বে যখন সাধক কবি  মহারাজার সাথে দেখা করতে যান, সে সময় পথে তিনি ভয়ঙ্কর ডাকাতদলের খপ্পরে পড়েছিলেন সে ডাকাত দল ছিল বাঁশবেড়িয়ার বিখ্যাত ডাকাত , বুধো ডাকাতের দলবল মা কালীর সামনে  নরবলি দিয়ে বুধো ডাকাত বরাবর ডাকাতি করতে বেরোতো সেবার নরবলি দেওয়ার জন্য সাধক কবি রামপ্রসাদ সেনকে ধরে নিয়ে তারা আস্তানায় নিয়ে হাজির করেছিল

শোনা যায় ,বলি দেওয়ার জন্য যেই মাত্র বুধো ডাকাত রামপ্রসাদ সেনের মাথার উপর খড়গ তুলে ধরেছিল , সেই মুহূর্তে রামপ্রসাদ গান ধরেছিলেন:

তিলেক দাঁড়া ওরে শমন,

মন ভরে মাকে ডাকি রে

আমার বিপদ কালে ব্রহ্মময়ী,

আসেন কিনা আসেন দেখি রে

রামপ্রসাদ সেনের সেই গান শুনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বুধো ডাকাত দ্রুত সম্বিত ফিরে পায় সমস্ত ডাকাতদল কিংবদন্তি অনুসারে, ডাকাতরা ভুল বুঝে ক্ষমা চেয়ে সাধক কবি রামপ্রসাদকে হালিশহরে পৌঁছে দিয়ে এসেছিল

 #

১৭৮১ সালদুর্গাপূজা শেষ হবার পর সে বছর ১৬ই অক্টোবর মঙ্গলবার কালী পূজার অমাবস্যা প্রতিবছর ওই দিনটিতে তিনি মহাসমারোহে কালী পুজো করেন নিজের হাতে প্রতিমা গড়েন, সারারাত ধরে চলে তার পুজো আর পুজোর ফাঁকে ফাঁকে আপন-মনে মাকে তিনি গান শোনান গোটা হালিশহরের লোক অপেক্ষা করে থাকে এই কালীপুজো দেখবে বলে

পরেরদিন যথারীতি প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন হচ্ছে এমন সময়, রামপ্রসাদ নাকি ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে বলেছিলেন, আজ মায়ের বিসর্জনের সঙ্গে আমারও বিসর্জন হবে

বিসর্জনের সময় মাথায় ঘট নিয়ে গঙ্গায় নেমে মায়ের প্রতিমার দিকে চেয়ে রামপ্রসাদ গাইতে লাগলেন একের পর এক গান চতুর্থ গানের শেষ দুটি লাইন ছিল:

প্রসাদ বলে, মন দৃঢ়, দক্ষিণার জোর বড়ো,

ওমা, আমার দফা হলো রফা, দক্ষিণা হয়েছে

কিংবদন্তি বলে, দক্ষিণা হয়েছে এই কথাটি গাইবার পরমুহুর্তেই নাকি সাধক কবি রামপ্রসাদ সেনের প্রাণবায়ু বেরিয়ে যায় শরীর লুটিয়ে পড়ে গঙ্গার জলে

চলে গেলেন সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন

 ***

আজ একথা বললে অস্বীকার করার উপায় নেই যে হালিশহর তথা সমগ্র বাংলার মানুষ নিজেদেরকে ধন্য মনে করে এই কারণে যে রামপ্রসাদ সেনের মতো একজন  যুগোপুরুষ সাধক কবি এই মাটিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং এই মাটিই ছিল তার কর্মভূমি যতদিন বাংলাভাষা থাকবে, বাঙালির কন্ঠে সুর থাকবে, বাঙালি জাতি হিসেবে বেঁচে থাকবে  --- ততদিন যে সাধক কবি রামপ্রসাদের গান বাঙালির প্রাণে ভক্তিপ্রেমের এক ... এক  অমৃত তরঙ্গ প্রবাহিত করবে, তাঁর গানের গৌরব চতুর্দিকে প্রচারিত হবে -- এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না

এই রচনাটি ভিডিওতে দেখতে এখানে ক্লিক করুন। 





তথ্যঋণঃ

  • রামপ্রসাদ by পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়
  • সাধক রামপ্রসাদ by জ্যোতিপ্রকাশ সেনগুপ্ত
  • এই সময় সংবাদপত্র
  • উইকিপিডিয়া

Copyright: The Galposalpo

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


Comments

Popular posts from this blog

জীবনানন্দ দাশ ও লাবণ্যদেবী : বিয়ের গল্প / Jibanananda Das and Labanya Debi : Marriage Story

বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দেমাতরম : উত্থান-পতনের আশ্চর্য ইতিহাস / History : Vande Mataram by Bankim Chandra

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় : প্রথম চুম্বন, মদ্যপান আর প্রেমের গল্প / Sunil Gangopadhyay : Story of First Kiss, Wine and Love