কিশোর কুমার : রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই / Kishore Kumar : Struggle in Emergency Period
১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি হল। জরুরি অবস্থা জারি করেই ইন্দিরা গান্ধী, দেশের গরিবী হটানোর উদ্দেশ্যে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে ২0 দফা কর্মসূচি দ্রুত ঘোষণা করে দিলেন।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন, সেই জরুরীকালীন সময়ে সঞ্জয় গান্ধী ছিলেন প্রশাসনের অন্যতম কর্তাব্যক্তি, সত্যি বলতে অন্যতম সর্বেসর্বা। তিনি চাইছিলেন, বোম্বের শিল্পী-কলাকুশলীরা টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে যোগদান করে সরকার প্রস্তাবিত কুড়ি দফা কর্মসূচির প্রতি প্রশংসাশ মূলক সমর্থন করবেন।
সেই উদ্দেশ্য নিয়ে টেলিভিশনে আয়োজিত হয়েছিল একটি অনুষ্ঠান, যার নাম রাখা হয়েছিল “গীত ভরি শাম”। গানের অনুষ্ঠান হলেও আসলে এটা ছিল দোর্দণ্ডপ্রতাপ সঞ্জয় গান্ধী মস্তিষ্কপ্রসূত সরকারি প্রচারাভিযান। তা, সঞ্জয় গান্ধীর ভয়ে বোম্বের নামিদামি শিল্পীরা সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন। দিলীপ কুমার যেমন সেই অনুষ্ঠানে চার মিনিটের বক্তব্য রেখেছিলেন, তেমনি লতা মঙ্গেশকর, মোহাম্মদ রফি, মুকেশ, আশা ভোঁসলে আর ডি বর্মন প্রমুখরা সেই অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেছিলেন।
অবশেষে ডাক পড়লো ভারতের প্লেব্যাক সঙ্গীতের অন্যতম সেরা নক্ষত্র কিশোর কুমারের। আর সেখানেই ঘটলো ছন্দপতন। বাস্তবিক অর্থে সেই কুড়ি দফা কর্মসূচির সূত্র ধরেই ভারতবর্ষের কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমারের জীবনে নেমে এলো এক ভীষণ অন্ধকার পর্ব।
১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে দিল্লি থেকে কিশোর কুমারের বাড়িতে সরাসরি একটা ট্রাংক কল আসলো। কিশোর কুমার সাধারণত কোন ফোন রিসিভ করেন না, কিন্তু সেদিন তিনি সেই ফোনটি ধরেছিলেন। তিনি শুনলেন, ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে একজন ভারী গলায় তাকে বলছেন, আপনাকে দিল্লি আসতে হবে। সঞ্জয় গান্ধীর প্রোগ্রাম আছে।
কিশোর কুমার খুব স্বাভাবিকভাবেই জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কে?
উত্তরে সেই ভারী কণ্ঠস্বরে শোনা গেল, আই অ্যাম বার্নি। তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তরের সেক্রেটারি সৈয়দ মুজাফফর হুসেন বার্নি।
প্রবল দম্ভে ভরপুর সেই কন্ঠ কিশোর কুমারের একদমই ভালো লাগলো না। তিনি অস্বাভাবিক ভাবে শান্ত হয়ে ধীর কণ্ঠে জানালেন, আপনি আমার সেক্রেটারির সাথে কথা বলুন অথবা আগে থেকে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট করে নিন।
টেলিফোনে সেদিন conversation শেষ হলো, কিন্তু শুরু হল confrontation, কেননা সঞ্জয় গান্ধী কখনো মুখের উপর কারো না শুনতে প্রস্তুত ছিলেন না।
#
যথারীতি সেক্রেটারি সৈয়দ বার্নি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কিশোরকুমারের সাথে তাঁর কথোপকথনটি জানালেন। উপর থেকে নির্দেশ এলো, সরকারি অফিসারদের সাথে বোম্বের চলচ্চিত্র মহলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা জরুরি সভার আয়োজন করতে হবে।
সেই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৬ সালের ২৯শে এপ্রিল। সভায় হাজির হলেন জি পি সিপ্পি, বি আর চোপড়া, সুবোধ মুখার্জী, শ্রীরাম বোহরা, নাসির হুসেন প্রমুখ প্রতিনিধিরা। সভায় সিদ্ধান্ত হলো, টেলিভিশনের “গীত ভরি শাম” -- সেই অনুষ্ঠানে গান গাইতে কিশোরকুমারকে রাজি করানোর গুরু দায়িত্ব দেওয়া হোক বি আর চোপড়াকে।
বলাবাহুল্য সেই দায়িত্ব পালনে বি আর চোপড়া আপ্রাণ চেষ্টা করলেন, কিন্তু কিশোরকুমারকে কিছুতেই রাজি করাতে পারলেন না।
এরপর আসরে নামলেন তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তরের জয়েন্ট সেক্রেটারি সি বি জৈন। সি বি জৈন সরাসরি গায়ককে ফোন করলেন। কিশোর কুমারের সামনে তিনি সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন এবং তাঁকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেন।
কিন্তু কিন্তু এক জায়গায় তাল কেটে গেল। একটা সাধারণ ফোন কলের মাধ্যমে সরকারি অনুষ্ঠানে এরকমভাবে আমন্ত্রণ জানানোর পদ্ধতিটিকে কিশোর কুমার কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না। তিনি আশা করেছিলেন যে, সরকারের তরফ থেকে শিল্পী হিসাবে তাঁকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হবে। একজন যথাযথ সরকারি প্রতিনিধি পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে --- ন্যূনতম এই সৌজন্যটুকু তিনি আশা করেছিলেন।
কিন্তু তার বদলে তিনি কি দেখতে পেলেন? তিনি দেখতে পেলেন, দাম্ভিক এক রাষ্ট্রযন্ত্র কিভাবে একজন শিল্পীর স্বাধীনতাকে, তার ইচ্ছেকে, তার তার শিল্পীসত্তাকে তার সম্মানকে পদানত করতে ক্রমশ উদ্ধত হয়ে উঠছে।
কিশোর কুমার, যিনি সদাসর্বদা খামখেয়ালী উচ্ছল উদ্বত জীবনরসে টৈটুম্বুর বেপরোয়া, তার মতন চরিত্র কিছুতেই এই অপমান মেনে নিতে পারেন না।
#
এ বিষয়ে তার বিখ্যাত উক্তিটি ছিল: যদি ঈশ্বরও এভাবে ফোন করে ডাকেন তবুও আমি যাব না। (Even if God comes and calls me like this, I won't go.
#
সুতরাং শুরু হলো চরম সংঘাত। একদিকে সরকারের চরম দাম্ভিকতা, সরকারের রক্তচক্ষু ভার্সেস অন্যদিকে একজন শিল্পীর আত্মমর্যাদা, একজন শিল্পীর স্বাধীন শিল্পীসত্তা।
সঞ্জয় গান্ধী সক্রিয় হয়ে উঠলেন। অন্যদিকে নিজের মন্ত্রিত্ব বাঁচাতে বিদ্যাচরণ শুক্লা, তিনিও সঞ্জয় গান্ধীর অপকর্মে যোগ্য সহযোগী হয়ে উঠলেন। তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তরের জয়েন্ট সেক্রেটারি সি বি জৈনকে দ্রুত রিপোর্ট পাঠাতে বললেন। সি বি জৈন যে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন, সেখানে তিনি সুপারিশ করেছিলেন:
#
All the songs of Sri Kishore Kumar should be banned from AIR and DD and that all films in which he was the playback singer should be listed out so that suitable action can be taken against these films. Besides, the representative of HMV and gramophone recording companies should be sent for and, in consultation with the Ministry of Education, the sale of Sri Kishore Kumar’s records and disc should be frozen.
যার অর্থ :
“শ্রীকিশোর কুমারের সমস্ত গান এআইআর (অর্থাৎ অল ইন্ডিয়া রেডিও) এবং ডিডি (অর্থাৎ দিল্লি দূরদর্শন) থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত। এবং যে সমস্ত চলচ্চিত্রে তিনি প্লেব্যাক সিঙ্গার ছিলেন সেগুলোর তালিকা করা উচিত যাতে ঐ চলচ্চিত্রগুলোর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এ ছাড়া এইচ এম ভি (অর্থাৎ হিজ মাস্টার্স ভয়েস) এবং গ্রামোফোন রেকর্ডিং কোম্পানির প্রতিনিধিদের ডেকে শিক্ষা মন্ত্রকের সাথে পরামর্শ করে শ্রীকিশোর কুমারের রেকর্ড এবং ডিস্ক বিক্রি হিমায়িত করা উচিত।
তা,, সি বি জৈন-এর সেই নোটের ভিত্তিতে মন্ত্রী বিদ্যাচরণ শুক্লা, তিনি ১৯৭৬সালের ১১ই মেতে কিশোর কুমারের উপরে সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। কিশোর কুমারের ছেলে অমিতকুমার এই প্রসঙ্গে বিস্ময়কর তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সরকারি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানের আট ঘণ্টার মধ্যেই সেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। বলাবাহুল্য, সেই দিনটি ছিল ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক জগতের ইতিহাসে একটা কালো দিন, যেখানে স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে একজন শিল্পীর অসম লড়াই চিরকালের জন্য নথিবদ্ধ হয়ে আছে।
#
নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ছিল ব্যাপক। একদিকে যেমন রেডিও টেলিভিশনে কিশোর কুমারের গান আর শোনা গেল না, এমনকি ডুয়েট গানে যেখানে কিশোর কুমারের ভয়েস আছে, তা অফ থাকতো, যেমন, যদি লতা মঙ্গেশকর এবং কিশোর কুমারের ডুয়েট গান শোনানো হতো, তাহলে লতা মঙ্গেশকরের গান শ্রোতারা শুনতে পেতেন, কিন্তু কিশোর কুমারের ভয়েস সেখানে অফ রাখা হতো। সে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি!
তা, একদিকে যেমন রেডিও টেলিভিশনে কিশোর কুমার নিষিদ্ধ হলেন, তেমনি অন্যদিকে যে সমস্ত নির্মীয়মান ছবিতে কিশোর কুমার গান করেছেন অথবা যে ছবিগুলিতে তিনি গান করবেন বলে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন, সেসব ছবির প্রযোজকদের মাথায় হাত! তারা তো বিপুল টাকা লোকসানের মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। এমনকি বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলি যারা কিশোর কুমারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তারাও ভয়ংকর খাদের কিনারে। পাশাপাশি বলিউডের সমস্ত প্রযোজক পরিচালক গায়ক অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ঢুকে পড়েছিল একটাই প্রশ্নে যে, কিশোর কুমারের পর এবার কার পালা?
পাশাপাশি এটাও দেখা গিয়েছিল যে, অসমদ্রহিমাচল জুড়ে যে ভারতবাসী, যাদের হৃদয়ের সিংহাসনে কিশোর কুমার স্বয়ং আসীন, তারা তার গান শুনতে পারছে না -- এই কষ্টে, দুঃখে, রাগে ক্রমশ তারাও হয়ে উঠেছিলেন বিক্ষুব্ধ অস্থির।
উপরন্তু, এসব ঘনঘটার মাঝেই সরকারের ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট থেকে অফিসাররা প্রায়ই কিশোর কুমারের বাড়ি রেড করতে শুরু করে দিলেন। সব মিলিয়ে কিশোর কুমারের সামনে তখন ছিল সে এক অন্ধকার সময়। কিন্তু তিনি রইলেন পাহাড়ের মতন অটল অবিচল।
এরকম এক জটিল পরিস্থিতিতে কিশোর কুমারের বড়দা অশোক কুমার, সবাই যাকে দাদামনি বলে ডাকে, তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন, এবং কিশোর কুমারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেন। ইন্দিরা গান্ধী কিন্তু সেই অনুরোধে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করলেন না বরং বললেন:
#
অনেক তো গান গাওয়া হলো, এবার একটু আরাম করুন (Bahut gana gaya, ab Jara aaram farmaye)
বহুত গানা গায়া, আব জারা আরাম ফরমায়েয়ে।
#
কিশোর কুমার, সেই পরিস্থিতিতে, তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নির্বিকার। তিনি তার অদম্য শিল্পীসত্তা এবং আত্মমর্যাদাকে বজায় রেখে বেরিয়ে পড়লেন দেশভ্রমণে। জরুরি অবস্থা চলাকালীন ছেলে অমিত কুমারকে সাথে নিয়ে তিনি প্রথমে গেলেন তার দেশের বাড়িতে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে, সেখান থেকে চলে গেলেন কন্যাকুমারিকা।
ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ভারতীয় জনমানসে কিশোর কুমারের জনপ্রিয়তা এতটুকু কমলো না। বরং উল্টে তাদের মনের মধ্যে একটু একটু করে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করল। সরকাও তা আঁচ করতে পেরেছিল। অবশেষে সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে সরকারের তরফ থেকে কিশোর কুমারের কাছে প্রস্তাব গেল যে, তিনি দুঃখ প্রকাশ করুন, তাহলেই তার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।
#
সেই প্রস্তাব শুনে কিশোর কুমার গম্ভীর ভাবে বলেছিলেন, দুঃখ প্রকাশ! কোন ভাবেই না। যদি প্রয়োজন হয়, আমি গান গাওয়া ছেড়ে দেবো ( Sorry! No way! If needed, I must quit singing)
#
তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তরের মন্ত্রী বিদ্যাচরণ শুক্লা সরকারিভাবে কিশোরকুমারের চাইতে বছর দুয়েক বড় ছিলেন এবং তার মা বাবার সাথে কিশোর কুমারের মা বাবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিশোর কুমার শেষপর্যন্ত, সম্ভবত মা-বাবার চাপে মন্ত্রী বিদ্যাচরণ শুক্লাকে চিঠি লিখলেন যে, আমি আপনাদের সহযোগিতা করব। কিন্তু সেই চিঠিতে তিনি কোনভাবেই দুঃখ প্রকাশ করলেন না।
অবশ্য সেই চিঠি পেয়ে সরকারের কোনো রকমে মুখ রক্ষা হলো। প্রকাশ্যে প্রেস বিবৃতি করে তারা জানালেন যে কিশোর কুমার চিঠি দিয়ে সহযোগিতা করবেন বলেছেন বলে তার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো।।
অবশ্য গল্পটা এখানেই শেষ হলো না।
১৯৭৭ সালের নির্বাচনে দোর্দণ্ডপ্রতাপ ইন্দিরা গান্ধী ধরাশায়ী হলেন। জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জনতা পার্টির নতুন সরকার গঠিত হল। সাথে সাথে গঠিত হলো বিচারপতি জে সি শাহের নেতৃত্বে শাহ কমিশন। এই কমিশনের কাজ ছিল, জরুরি অবস্থায় নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট তৈরি করে সরকারকে জানানো।
কিশোর কুমারের উপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিষয়ে শাহ কমিশন তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল যে, সঞ্জয় গান্ধীর পরোক্ষ প্রভাবে মন্ত্রী বিদ্যাচরণ শুক্লা এবং তার দপ্তরের সেক্রেটারি বার্নি, জয়েন্ট সেক্রেটারি সি বি জৈন -- তারা সবাই মিলে কিশোর কুমারের উপরে যেভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন, যে অশোভন আচরণ করেছিলেন, তা ছিল সর্বত ভাবে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারি দমননীতির নির্লজ্জ প্রতিফলন।
রাষ্ট্রযন্ত্র তার রক্তচক্ষু দিয়ে কখনোই এভাবে একজন শিল্পীর কণ্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে শিল্পী কিশোর কুমারের একক লড়াই উচ্চকণ্ঠে প্রশংসার দাবি রাখে। তার এই অনমনীয় জেদ এবং আত্মমর্যাদা ভবিষ্যতে শিল্পীদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়াবে বলে শাহ কমিশন বিশ্বাস করে।
#
১৯৮৭ সালের ১৩ই অক্টোবর মাত্র ৫৮ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি আকস্মিকভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দেশের এই কিংবদন্তি গায়ককে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি।
ভালো থাকুন। নমস্কার।
পুরো বিষয়টিকে ভিডিওতে এই বাক্যটিতে ক্লিংকে ক্লিক করুন।


.jpeg)
.jpeg)
.jpeg)
.jpeg)
Comments
Post a Comment